
বরুণবাবুর বন্ধু
গত নভেম্বরে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে বেঙ্গলি প্যানোরামা বিভাগে উদ্বোধনী ছবি হিসেবে দেখানো হয় অনীক দত্তের নতুন ছবি বরুণবাবুর বন্ধু। এখনও যদিও সেই ছবি প্রেক্ষাগৃহে বাণিজ্যিক
গত নভেম্বরে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে বেঙ্গলি প্যানোরামা বিভাগে উদ্বোধনী ছবি হিসেবে দেখানো হয় অনীক দত্তের নতুন ছবি বরুণবাবুর বন্ধু। এখনও যদিও সেই ছবি প্রেক্ষাগৃহে বাণিজ্যিক
পরিযায়ী হোক বা খাঁচাবন্দি, পাখি মানেই ডানামেলা অসীমে উধাও। আবহমান কাল ধরে পাখি নিয়েই যত গান, যত স্বপ্ন, যত কল্পনা! পাখি কখনও হিচককের ভয়-ছবির নায়ক,
“বরফ কেটে পথ চলছে স্লেজ গাড়ি। চাকা তো নেই। গাড়ির নিচের লম্বা ডান্ডা দুটোয় ছিটকে ছিটকে যাচ্ছে কুচি কুচি বরফ। গাড়ি টানছে বলগা হরিণের দল।
বাতাসে হিমহিম শিরশিরানি মানেই ড্রেসিং টেবিলে স্নো-পমেটম-ক্রিমের শিশি। আদি বাঙালির শীতের সাজ-কথার গপ্পো সাজাতে এই এক লাইনই যথেষ্ট। মা-কাকিমার আটপৌরে সাজ থেকে ফিলিম-তারকার অনস্ক্রিন ঝকঝকানি
প্রবাল আর ভাস্বতী। মার্কিন মুলুকে তাঁদের সুখের সংসারে যখন সুখের ভাঁড়ারে টান পড়তে শুরু করে, সকলের আগে কাঁপন লেগেছিল ছোট্ট মেয়ে তিতলির মনে। বাবা-মায়ের নিশ্চিন্ত
তখনও কুঁচি দিয়ে শাড়ি পরবার ঢালাও চল হয়নি এ দেশে। ঠাকুরবাড়ির হাত ধরে সবে সবে শুরু। বিদ্যাসাগর বিধবা-বিবাহ আইন আর মেয়েদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেছেন বটে,
নিঃশব্দে ইতিহাস গড়েছেন এক নারী। তাঁকে নিয়ে বিশেষ হইহল্লা নেই গণমাধ্যমে বা সামাজিক মাধ্যমেও। তবু তিনি আছেন। নীরবে নিজের কাজ নিয়ে। নিজের গড়া ইতিহাস নিয়ে।
শীতের হিম হিম যখন আবছায়া ধোঁয়াশায় ঢাকছে নাগরিক যানজট, সোডিয়াম ল্যাম্পের চারদিকে বিনবিন করছে বেরঙিন শ্যামাপোকার দল, হাল্কা পশমিনা মুড়ি দিয়ে আইসক্রিমে উষ্ণতা খুঁজছে যৌবন,
মনে পড়ে, দিন কয়েক আগেই ফেসবুক-হোয়াটস্যাপে ভাইরাল হওয়া আলিয়া ভট্ট আর রণবীর কাপুরের বিয়ের কার্ড? আকাশি নীলের ওপর সোনালি অক্ষরে ছাপা সেই কার্ড দেখে ভুরি
গাছ লাগান। পরিবেশ বাঁচান। প্লাস্টিক হঠান। রক্ষা করুন বাস্তুতন্ত্র। খবরের কাগজ থেকে ইউটিউব, সর্বত্র চলেছে পরিবেশবান্ধব হওয়ার প্রচার। কিন্তু কার তাতে কী? আমরা যদি এই
সেই বড় কাঠের বাক্সটাকে মনে পড়ে? যার সামনের দিকের ডালাটা দু’দিকে সরিয়ে দিলে মাঝে একটা কাচের পর্দা বেরিয়ে পড়ত? তারপর এত্তবড় বড় গোল গোল নব
যে কোনও ব্যক্তিকে দেহব্যবসায় প্ররোচনা দেওয়া বা দেহব্যবসার কারণ হওয়া আইনত দণ্ডনীয়। এই ব্যাখ্যার উপর ভিত্তি করেই এই নজিরবিহীন রায় ঘোষণা করেছেন হলদিয়া আদালতের বিচারকেরা।
ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাকে ঘরের কাজ শেখাও, স্বনির্ভর করে তোলো – মা কাকিমা ঠাকুমার এই উপদেশ শোনেননি, এমন মা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু কেন এমন বলা
যুদ্ধ প্লাস সাইজ নামক অশ্লীল পরিভাষার বিরুদ্ধে। যুদ্ধ তথাকথিত ‘স্বাভাবিক’-এর সংজ্ঞার বিরুদ্ধে। যুদ্ধ নারীশরীরের শ্রেণিবিভাজনের কুটিল অর্থনীতির বিরুদ্ধে।
এমন করে বাইরে থেকে ডাকব না! পারি যদি, অন্তরে তার ডাক পাঠাব আনব ডেকে!’ সে ডাক আর পৌঁছল না। ডাক হরকরা চিঠি নিয়ে মাঝপথেই দাঁড়িয়ে রইল। অমল সে চিঠি পেল না। আমার যে ফুলের সাজি নেই নবনীতামাসি।
এই ধরনের বাক্য নারীকে শুধু যে যৌন-বস্তু হিসেবে তুলে ধরছে তা-ই নয়, এ কথা স্পষ্ট করে দিচ্ছে, যে অভিধানটি লেখা হয়েছে পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে যেখানে নারী মাত্রেই পুরুষের অধীন এবং সময়ে সময়ে বিরক্তি-উদ্রেককারিণী।
© Copyright 2019-20 | Celcius Technologies Pvt. Ltd. All Rights Reserved
Unauthorized copying or representation of any content, photograph, illustration or artwork from any section of this site is strictly prohibited.