
গোলকিপার (পর্ব ৬)
জানলা খুলে নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিল না অরিত্র। এ কি শান্তিনিকেতন? নাকি টুং-সোনাদা-ঘুম? কুয়াশা এত ঘন যে কয়েক হাত দূরে বাতাবি গাছটাও প্রায় মিলিয়ে
জানলা খুলে নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিল না অরিত্র। এ কি শান্তিনিকেতন? নাকি টুং-সোনাদা-ঘুম? কুয়াশা এত ঘন যে কয়েক হাত দূরে বাতাবি গাছটাও প্রায় মিলিয়ে
গুয়াহাটি থেকে জাতীয় সড়ক ধরে পূর্বদিকে এগোতে থাকলে শহরের প্রান্তসীমায় অবস্থিত খানাপাড়া থেকে রাস্তার দু’ পাশের বিচিত্র দৃশ্য বৈষম্য অবশ্যই আপনার চোখে পড়বে। বাঁদিকে ছোটো ছোটো বাড়ি। বাঁশবন-গাছগাছালি। আর অন্যপাশে ঝকঝকে দোকানপাট, পেট্রোল স্টেশন, রেস্তোরাঁ আরও কত কিছু।
নিজের ভিতর নিজে বসে আছি প্রগাঢ় সন্ন্যাসে শূন্যদেশে ছায়া ওড়ে শুধু। এ এখন কোন্ ঋতু, পৃথিবীর বুক থেকে জন্মশব্দ উড়ে আসে বাতাসে-বাতাসে! যতটা বিষাদ তুমি
বেশ কয়েকটা বছর পেরিয়ে গিয়েছে — সালটা খুব সম্ভবত ২০১৬। এই ক’বছরের মধ্যে পৃথিবীর বড় শহরগুলোর পরিবহন ব্যবস্থায় একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। চালু হয়েছে অ্যাপ
২০০৬-এর কথা। কলকাতায় ছুটি কাটাতে গেছি অনেকদিন বাদে। একা ট্যাক্সিতে চড়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ি যাচ্ছি| ট্যাক্সিতে চাপিয়ে দিলেন শ্বশুরমশাই, সঙ্গে বেশ লটবহর। উনি ট্যাক্সি
কুর্চি-প্রশান্তর তখন বিয়ের কথা ভাবার ফুরসত কোথায়? কুর্চি সবে এম এ শেষ করে পি এইচ ডি-র জন্যে তৈরি হচ্ছে। বাবার প্রশ্নের উত্তরে নেহাতই আলগাভাবে বলেছিল,
তুমুল শীতের সন্ধে।’তুমুল’ শব্দটিকে কেটে দিয়ে নীরক্ত লিখছি স্রেফ নিন্দের ভয়ে। ‘আমি কিন্তু ভীষণ নার্ভাস’, আপনি বললেন। আমার একটি হাত ক্রিসমাস গাছ থেকে গড়িয়ে নামলো!
চার তৈরি করতে লাগে সুজি, হাঁড়িয়া, মধু, মাখনের গাদ, রসগোল্লার রস, এলাচ, জয়িত্রী, জায়ফল, ছোলার ছাতু, একাঙ্গী, মেথি, ঘি, ঘোড়াবাজ, তিল, তিসি, আতপচালের পোলাও, পোস্ত, সরষের খোল, চোলাই, রাম, পিঁপড়ের বাসি ডিম, এলিয়ে যাওয়া চিংড়িমাছ এমন আরও কত কী!
ধন্যি বটে বাঙালনামা ধন্যি বটে পোস্তভাত
অপয়া টাই নিমিত্ত থাক নন্দ ঘোষে কাবার রাত
মনের ভিতর ঘাপটি মেরে উঁকি ঝুঁকি একটু যেই
অমনি পিছল রাস্তা হাজির পায়ের তলায় সর্ষে খই।
যে সাঁকোটি প্রিয় খুব, সে কখনও একমুখী নয়
চারটি দশক পর মাঠগুলি, ঘরগুলি,
গাছগুলি, পাখিগুলি, হাওয়াতেই উতরোল হয়।
অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে একটা হাই চেপে দেবদীপ বলল, “অরি, কাল সকালে ডাক্তার সরকারকে একবার তোর হাতটা দেখিয়ে আনব, বুঝলি।” – নামকরা জ্যোতিষী? – অ্যাঁ? –
তোর মনে হয় যাবার সময় হল উঠতে হবে, দেরী করিস না যেন! অনভ্যাসের চেয়ার ছেড়ে সসম্মানে মুখোশ ছিঁড়ে নেমে আয় আজ সিংহাসন ফেলে। অহং ,পাপ
আমি সুরঞ্জন। একটা অদ্ভুত সমস্যায় পড়েছি জানেন! কার সঙ্গে আলোচনা করব বুঝতে পারছি না। বাড়িতে আমি একা। না মানে ঠিক একা নই, সঙ্গে কয়েকটা বদ্রী
মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ আপাতভাবে ভারতীয় হিন্দু পুরাণ ও মহাকাব্যের নারীর জবানি হলেও, এর অন্তরে সমসময়ের অন্দরমহলের ছায়া স্পষ্ট। হিন্দু পুরাণ আর মহাকাব্যের পরিচিত,
এই লেখা শুরু হয়েছে ১৯৩৫ সালের গোড়ায় তাঁর পিতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। সেই থেকে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের ঘাত প্রতিঘাতে তৈরি পিতৃহারা কিশোরের পরিণত শিল্পীসত্তার অকুন্ঠিত আর্তি বইয়ের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে। সেদিন পিতার মৃত্যু দিয়ে তাঁর জীবনে আঁকা হয়েছে যে প্রথম ক্ষতচিহ্ন, তাকে আজীবন বয়ে নিয়ে চলেছেন।
“এখানেও তুই না বলে দিলি?” মা’র করুণ মুখটার দিকে তাকিয়ে আদিত্যর এত অসহায় লাগে যে হেসে ব্যাপারটাকে হালকা করে দিতে চায়। “চিনুদির পছন্দ বিশ্বাস কোরও
© Copyright 2019-20 | Celcius Technologies Pvt. Ltd. All Rights Reserved
Unauthorized copying or representation of any content, photograph, illustration or artwork from any section of this site is strictly prohibited.