
গোলকিপার (পর্ব ৬)
জানলা খুলে নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিল না অরিত্র। এ কি শান্তিনিকেতন? নাকি টুং-সোনাদা-ঘুম? কুয়াশা এত ঘন যে কয়েক হাত দূরে বাতাবি গাছটাও প্রায় মিলিয়ে
জানলা খুলে নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিল না অরিত্র। এ কি শান্তিনিকেতন? নাকি টুং-সোনাদা-ঘুম? কুয়াশা এত ঘন যে কয়েক হাত দূরে বাতাবি গাছটাও প্রায় মিলিয়ে
কুর্চি-প্রশান্তর তখন বিয়ের কথা ভাবার ফুরসত কোথায়? কুর্চি সবে এম এ শেষ করে পি এইচ ডি-র জন্যে তৈরি হচ্ছে। বাবার প্রশ্নের উত্তরে নেহাতই আলগাভাবে বলেছিল,
অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে একটা হাই চেপে দেবদীপ বলল, “অরি, কাল সকালে ডাক্তার সরকারকে একবার তোর হাতটা দেখিয়ে আনব, বুঝলি।” – নামকরা জ্যোতিষী? – অ্যাঁ? –
দূরে বাগানের প্রান্ত বরাবর সার দিয়ে নিচু নিচু আলো জ্বলছে। খাওয়ার পর অন্ধকার বারান্দায় দু’জনে বসল পাশাপাশি দু’টো চেয়ারে। সদ্য ব্যাঙ্কে চাকরি পাওয়া চব্বিশ বছরের
আধো অন্ধকারে কয়েক পা এগনোর পরেই ঝরা-পাতার মধ্যে কোনও কিছু নড়াচড়ার একটা খসখস শব্দ কানে এল অরিত্রর। সঙ্গে সঙ্গে সাবধান হয়ে গেল সে। এখানে সাপ-টাপ
‘দুষ্মন্ত, দুষ্মন্ত…’ উঁচু গলায় মহিলা কণ্ঠের ডাক পরিষ্কার শুনল অরিত্র। রাত ন’টা বেজে গেছে। দেবদীপ এখনও টিভিতে ফুটবলে মশগুল। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। সন্ধের পর থেকেই আহ্লাদি
আমি সেই সুযোগে মুন্নিকে একটু সাইডে টেনে ভোরের ঘটনাটা ঠিক কী হয়েছিল জানতে চাইলাম। মুন্নি যা রিপোর্ট দিল, তা সংক্ষেপে এইরকম: মুন্নির বাবা সম্প্রতি ফ্রান্স
সুজাতা বউদির বাড়ি গিয়ে আমি প্রথম যাকে দেখে চমৎকৃত হই, সেই লোকটি ওর বর প্রদীপবাবু। আমি মনে মনে ওর নাম দিয়েছিলাম ‘মাটির প্রদীপ’। বিরাট শিক্ষিত
আমাদের কলেজের এক অপূর্ব সুন্দরী ছিল পরমিন্দর কাউর। পরমিন্দরের বাড়িতে যারা কখনও-সখনও যেতে পারত, তাদের মুখে শুনেছি তার দিদি, যে আমাদের কলেজে পড়ত না, রভিন্দর
মাটি থেকে ফুট তিনেক ওপরে লাফিয়ে উঠলো অভিরূপের শরীরটা। মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ার আগেই বিস্ফোরণে ছিটকে আসা একটা পাথরের টুকরো সপাটে এসে লাগলো কপালে। পরমুহূর্তেই
“ঠিক হ্যায় কমরেড।” নেমে গেলো ছেলেটা। “আমাকে অ্যাতোক্ষন ধরে এতো প্রশ্ন করলেন। এবার আমি আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে পারি। আশা করি উত্তর দেবেন।” সিঁড়ি দিয়ে
ছিঁড়েখুঁড়ে বের করে আনতে হবে উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে থাকা ভিতরকার স্বাভাবিক, সাধারণ মানুষটাকে। যে মানুষটা তার ছেড়ে আশা ছেলেবেলা হারিয়ে ফেলার দুঃখে কষ্ট পায়, ঝরনা লাফিয়ে
“ডিক্টেটরশিপ অফ দ্য প্রলেতারিয়েত না ডিক্টেটরশিপ অফ দ্য পার্টি? যেখানে শহর থেকে আসা ভদ্রলোকরাই রাজা আর স্থানীয় মানুষ? স্রেফ প্রজা।” পরবর্তী কথাগুলো বলার জন্য বুকের
হয় আমি নয়তো ও, চলে যেতে হবে অন্য স্কোয়াডে। মাঝেমধ্যে দেখা হবে সময় সুযোগ মতো। এই যুদ্ধপরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন দুজনের একসঙ্গে থাকাটা অনেক অসুবিধে সৃষ্টি করে।
ইমার্জেন্সি উঠে গ্যালো। ইন্দিরা গান্ধীর কংগ্রেস গভর্নমেন্ট হেরে গ্যালো ইলেকশনে। দিল্লীর মসনদে জনতা পার্টি। বাংলায় জ্যোতিবাবুরা ক্ষমতায় এলেন ডেমোক্রাসির ঢাকঢোল বাজিয়ে। আমাদের প্রত্যেকটা গেরিলা স্কোয়াডে
তাছাড়া সারাজীবন পুলিশের মার খেয়ে আর পালাতে পালাতে হাজারটা চোটের ব্যথা আর রোগজ্বালা বাসা বেঁধেছে শরীরে। তোদের ভারবোঝা হয়ে যাবো আমি। বিপদে পড়বি তোরা। আমি
© Copyright 2019-20 | Celcius Technologies Pvt. Ltd. All Rights Reserved
Unauthorized copying or representation of any content, photograph, illustration or artwork from any section of this site is strictly prohibited.