
কেতজেল পাখি (পর্ব ১৫)
একটা ভয়ঙ্কর অবস্থা চারপাশে। আর ঠিক তখনই অন্যদিকে বাঁক খেল জীবন। আরেকটা নতুন অধ্যায়। ঘুরে যাওয়া আনকোরা, প্রায় অচেনা একটা রাস্তায়। সেলে আমার সেলমেটদের মধ্যে
একটা ভয়ঙ্কর অবস্থা চারপাশে। আর ঠিক তখনই অন্যদিকে বাঁক খেল জীবন। আরেকটা নতুন অধ্যায়। ঘুরে যাওয়া আনকোরা, প্রায় অচেনা একটা রাস্তায়। সেলে আমার সেলমেটদের মধ্যে
তক্কাতক্কির মাঝখানেই দেখছিলাম মাথা নীচু করে মুখ লুকোচ্ছে সুদীপ্তরা। বুঝতে পারলাম আসলে প্রতীপদা আর উঁচু ক্লাসের ছেলেদের চাপেই আমাকে না ডাকতে বাধ্য হয়েছে ওরা। মিটিংয়ে
ইন্টার স্কুল জুনিয়র ফুটবল ফাইনাল। লেক বয়েজ ভার্সাস আমাদের স্কুল। সিডিউলড আর এক্সট্রা টাইমেও খেলা গোললেস। টাইব্রেকার চলছে। এই শটটা আটকাতে পারলেই আমরা চ্যাম্পিয়ন। অপোনেন্টের
বিশাল পাথরটার ওপর বসেছিল দুজন। ঘন কুয়াশার চাদর জড়ানো সন্ধে। বিশাল বিশাল সব শাল-মহুল গাছের পাতা বেয়ে ঝরে পড়া কুয়াশার টুপ টুপ শব্দ চারপাশে। খুব
“তারপর আর কি … সেই শুরু অন্যরকম চিন্তাভাবনার। যাতায়াত আরম্ভ এইসব অঞ্চলে। প্রথম প্রথম কিছুদিন থেকে ফিরে যেতাম। একসময় বুঝতে পারলাম এভাবে আর চলবে না।
শসাকে কোর্টে তোলা হবে বেলা আড়াইটে। নারুম যাবে। নারুম খুব খুশি। সারেন্ডার করবার পর থেকে শসার ওপর অল্পবিস্তর চড়চাপড় হয়েছে, কিন্ত আমরা যাবার পর থেকে
ফারাক বলতে শুধু মাড়ির বদলে গোটা শরীর। অসাড়, অবশ। দাঁতে দাঁতে খটখটানিটা চেপে পরপর কয়েকটা ডুব। মাথার ওপর শীতকালের মিঠে নরম সূর্য। ডুব দিয়ে উঠেই
কথায় আছে ‘জামাই আদর’। সেই আদর হল, শাশুড়ির গরম লুচির আদর, সেই আদর হল শ্বশুরমশাইয়ের ‘বাবা–বাছা’র আদর, সেই আদর হল শ্যালিকার ‘আর দুটো দিন থেকে যান
পৃথিবীর বুকে এরকম কোনও লেন্স আজ অবধি তৈরি হয়েছে কি – যা এই অলৌকিক, অসম্ভব জাদুবাস্তবময় দৃশ্যপটকে এক ফ্রেমে বেঁধে ফেলতে পারে? ক্রমে দ্রুত থেকে
আমি যা ভেবেছিলাম তাই। মোবাইল তুলে কানে দিতেই ঝলমলে এক তরুণীকণ্ঠ। তরুণীকণ্ঠ বলল,‘সাগরদা, কেমন আছেন?’ আমি অবাক হলাম। ফোন তুলতেই নারুম আমাকে চিনে ফেলল! তরুণীকণ্ঠ
টিলা পাহাড়ের চড়াই ভেঙ্গে উঠছিল ওরা চারজন। এবড়ো খেবড়ো অসমান রাস্তা বেয়ে। প্রায় চূড়ার কাছটায় পৌঁছে গেছে। এমন সময় হাত ত্রিশেক ওপরে একটা পাথুরে বাঁকের
এরপর আমার সঙ্গে পকেটমার শসার বন্ধুত্ব হয়ে গেল। শসার সঙ্গে আমার মাঝেমধ্যেই সাক্ষাৎ হয়। আমার লেকে বসে গল্প করি। ডাল–ভাতের দোকানে ভাত খাই। শসা আমার
অভিরূপের অনুমান সত্যি। যতীন আদতে এই অরন্যের ভূমিপুত্র নয়। বিহারের জামুই জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে ওর বাড়ি। রামপ্রতাপ চৌধুরী। দোর্দণ্ডপ্রতাপ জমিদার ওদের গ্রামের। ঘরে বেওয়া মা
শশার সঙ্গে আমার পরিচয় দু’বছর আগে। সেদিন হাতিবাগানে ট্রাম দেখে মনটা উস্খুস্ করে উঠল। বহুদিন ট্রামে চড়া হয় না। কলকাতায় থাকি অথচ দীর্ঘদিন ট্রামে চড়ি
বালি আর নুড়িপাথর বেছানো রাস্তাটা শুরু হবে। জঙ্গলের একদম শেষপ্রান্তে এসে হঠাৎই দাঁড়িয়ে পড়লো কোশি। বাঁ হাতটা তুলে থামতে ইশারা করলো। মুহূর্তে বদলে গেছে শরীরী ভাষা। সতর্ক
আগুনের তেজ বেড়েছে। সামনে রাখা একটা মাঝারি সাইজের অ্যালুমিনিয়ামের ডেকচি। পাশে বেছানো কয়েকটা লম্বা লম্বা প্লাস্টিক শিট। তার একটার ওপর বসে মেঠো আলুর খোসা ছাড়াচ্ছে
© Copyright 2019-20 | Celcius Technologies Pvt. Ltd. All Rights Reserved
Unauthorized copying or representation of any content, photograph, illustration or artwork from any section of this site is strictly prohibited.