
গোলকিপার (পর্ব ৩)
দূরে বাগানের প্রান্ত বরাবর সার দিয়ে নিচু নিচু আলো জ্বলছে। খাওয়ার পর অন্ধকার বারান্দায় দু’জনে বসল পাশাপাশি দু’টো চেয়ারে। সদ্য ব্যাঙ্কে চাকরি পাওয়া চব্বিশ বছরের
দূরে বাগানের প্রান্ত বরাবর সার দিয়ে নিচু নিচু আলো জ্বলছে। খাওয়ার পর অন্ধকার বারান্দায় দু’জনে বসল পাশাপাশি দু’টো চেয়ারে। সদ্য ব্যাঙ্কে চাকরি পাওয়া চব্বিশ বছরের
সকালের ছেলেটার নামটা হঠাৎ করেই মনে পড়ে যায় সুকোমলের। বাপন। বাপনের কথা পায়েলকে বলবে ও। পায়েল সকলের ‘ঠিকঠাক’ থাকার কথা জানতে চেয়েছে। যারা বাপনকে, সুকোমল, প্রবালদের পায়েলদের নানা ভাবে, নানা স্থান থেকে উৎখাত করতে চায়, তাদের চোখে চোখ রেখে কথা বলার ভরসা দেয় বাপন, স্বপ্ন দেখায় পায়েল!
‘এ সবই নশ্বরতা’, বলে তুমি হারমোনিয়াম সরিয়ে দাও। ফুলের রেণুর মতো,ঝরে-পড়া মাত্র কথাগুলি মিলিয়ে যাচ্ছে বাতাসে। তোমার হাতচিঠিগুলোর জন্যও আশঙ্কা হয়! কেমন নির্জন হয়ে এল
বন্ধু, অনেক দূরের একটা চিলেকোঠায় এতদিন খোলসের ভিতরে গুটিয়ে বসে আমি চুপচাপ দেখছিলাম পৃথিবীটাকে, চোখ বুজে। দুপুর যে এখানে কী নীল এখনও! শাঁখের শব্দে সন্ধেবেলা
বিয়ে হয়েছিল শেষ রাতে। বাসরঘরে যেতে যেতেই আকাশ ফর্সাঁ। মেয়েরা আক্ষেপ করেছিল এই রকম বিয়ের কোনও মানে হয় না। বাসর জেগে বরবউ-এর সঙ্গে রসিকতা করা
কী ভীষণ জাদুকরী মোহে!
আশ্লেষ সার্থক হলে ইন্দ্রিয়ের নতুন স্ফুরণ─
এও এক স্বমেহক প্রমিত প্রবাহ।
১ পক্ষপাতের সমারোহ উলুধ্বনিতে শাঁখ বাজছিল টানা খেয়ালই করিনি ট্রেনলাইনের পাশে অসমবয়সী নিভু নিভু দুটো তারা জ্বলে উঠেছিল গঙ্গার পাড়ে, রাতে হাতের ভিতরে হাত নিয়ে
আধো অন্ধকারে কয়েক পা এগনোর পরেই ঝরা-পাতার মধ্যে কোনও কিছু নড়াচড়ার একটা খসখস শব্দ কানে এল অরিত্রর। সঙ্গে সঙ্গে সাবধান হয়ে গেল সে। এখানে সাপ-টাপ
তুমি অনর্থ করার মেয়ে, আমি জানি।” বাধ্য ছাত্রীর মতো আমি একটা ছোটো ছেলের পাশে পাশে হাঁটছি। গাড়ির নম্বর মিলিয়ে সিটে বসছি। পাশে বসছে চওড়া ঠোঁটের কৃষ্ণবর্ণ তরুণ। মেরুন পাঞ্জাবির পকেট থেকে তার দু’সপ্তাহ আগের হারিয়ে যাওয়া দুলটা বার করে বলছে, “এটা আমার কাছে থাকে এখন। রোজ। আউটডোর করার সময়, ইনডোরে রাউন্ডের সময়, মাঝরাতে ডেলিভারি করানোর সময়।
“বরফ কেটে পথ চলছে স্লেজ গাড়ি। চাকা তো নেই। গাড়ির নিচের লম্বা ডান্ডা দুটোয় ছিটকে ছিটকে যাচ্ছে কুচি কুচি বরফ। গাড়ি টানছে বলগা হরিণের দল।
(১) প্রথমে একটু সময় লেগে যাবে চোখটা সইয়ে নিতে। চামড়া পোড়ানো তাত,ক্রমশঃ তা-ও সয়ে যাবে। আলো আঁধারিতে পাগলের মতো ড্রাম বাজাচ্ছে প্রাগৈতিহাসিক ক’জন মানুষ, মানুষী।
‘দুষ্মন্ত, দুষ্মন্ত…’ উঁচু গলায় মহিলা কণ্ঠের ডাক পরিষ্কার শুনল অরিত্র। রাত ন’টা বেজে গেছে। দেবদীপ এখনও টিভিতে ফুটবলে মশগুল। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। সন্ধের পর থেকেই আহ্লাদি
ভোর সাড়ে ছটা পোশাকি নাম বিলাসখানি তোড়ি। ঘুমের বেদনা ফুটিয়ে শোঁ শোঁ শব্দে গরম হচ্ছে কেটলিজীবন। ঈষৎ ভারী হয়ে থাকা মাথায় কাটাকুটি খেলছে শৈশব থেকে
তালা খুলে ঘরে ঢুকতেই লাইটটা নিভে গেল। লোডশেডিং বোধহয়। অন্ধকারে অন্তরার মুখটা ভেসে এল একবার। অবাক হল শোভন।
ওকে প্রথম দেখেছিলাম, সেদিনটার কথা আমার আজও মনে আছে। ওর চেহারায় যে তেমন কিছু বিশেষত্ব ছিল তা নয়, কথা বলার ভঙ্গিটাও ছিল খুবই বিনীত। বরং
© Copyright 2019-20 | Celcius Technologies Pvt. Ltd. All Rights Reserved
Unauthorized copying or representation of any content, photograph, illustration or artwork from any section of this site is strictly prohibited.