
মনের ঝুলবারান্দা
আমি সুরঞ্জন। একটা অদ্ভুত সমস্যায় পড়েছি জানেন! কার সঙ্গে আলোচনা করব বুঝতে পারছি না। বাড়িতে আমি একা। না মানে ঠিক একা নই, সঙ্গে কয়েকটা বদ্রী
আমি সুরঞ্জন। একটা অদ্ভুত সমস্যায় পড়েছি জানেন! কার সঙ্গে আলোচনা করব বুঝতে পারছি না। বাড়িতে আমি একা। না মানে ঠিক একা নই, সঙ্গে কয়েকটা বদ্রী
“এখানেও তুই না বলে দিলি?” মা’র করুণ মুখটার দিকে তাকিয়ে আদিত্যর এত অসহায় লাগে যে হেসে ব্যাপারটাকে হালকা করে দিতে চায়। “চিনুদির পছন্দ বিশ্বাস কোরও
সকালের ছেলেটার নামটা হঠাৎ করেই মনে পড়ে যায় সুকোমলের। বাপন। বাপনের কথা পায়েলকে বলবে ও। পায়েল সকলের ‘ঠিকঠাক’ থাকার কথা জানতে চেয়েছে। যারা বাপনকে, সুকোমল, প্রবালদের পায়েলদের নানা ভাবে, নানা স্থান থেকে উৎখাত করতে চায়, তাদের চোখে চোখ রেখে কথা বলার ভরসা দেয় বাপন, স্বপ্ন দেখায় পায়েল!
বিয়ে হয়েছিল শেষ রাতে। বাসরঘরে যেতে যেতেই আকাশ ফর্সাঁ। মেয়েরা আক্ষেপ করেছিল এই রকম বিয়ের কোনও মানে হয় না। বাসর জেগে বরবউ-এর সঙ্গে রসিকতা করা
তুমি অনর্থ করার মেয়ে, আমি জানি।” বাধ্য ছাত্রীর মতো আমি একটা ছোটো ছেলের পাশে পাশে হাঁটছি। গাড়ির নম্বর মিলিয়ে সিটে বসছি। পাশে বসছে চওড়া ঠোঁটের কৃষ্ণবর্ণ তরুণ। মেরুন পাঞ্জাবির পকেট থেকে তার দু’সপ্তাহ আগের হারিয়ে যাওয়া দুলটা বার করে বলছে, “এটা আমার কাছে থাকে এখন। রোজ। আউটডোর করার সময়, ইনডোরে রাউন্ডের সময়, মাঝরাতে ডেলিভারি করানোর সময়।
(১) প্রথমে একটু সময় লেগে যাবে চোখটা সইয়ে নিতে। চামড়া পোড়ানো তাত,ক্রমশঃ তা-ও সয়ে যাবে। আলো আঁধারিতে পাগলের মতো ড্রাম বাজাচ্ছে প্রাগৈতিহাসিক ক’জন মানুষ, মানুষী।
তালা খুলে ঘরে ঢুকতেই লাইটটা নিভে গেল। লোডশেডিং বোধহয়। অন্ধকারে অন্তরার মুখটা ভেসে এল একবার। অবাক হল শোভন।
ওকে প্রথম দেখেছিলাম, সেদিনটার কথা আমার আজও মনে আছে। ওর চেহারায় যে তেমন কিছু বিশেষত্ব ছিল তা নয়, কথা বলার ভঙ্গিটাও ছিল খুবই বিনীত। বরং
সময়ের পিদিমফেরানো ডাকে ফুল্লরার রান্নাঘরে বাড়ন্ত হয় সবজে বাতাস। একচিলতে নিকোনো দাওয়ায় তখন রোদ্দুর, আঁচল পাতে আকিঞ্চনে। জিরোন মুহূর্তের পল গুণে মৌসুমী আনে দু’একটা পথভোলা
কমিকস পড়তে আমার কী ভালই যে লাগে। অথচ এখন আর পড়া হয় না। সেদিন গৌতমের কাছ থেকে দুটো টিনটিন এনেছিলাম। বাড়িতে এখনও অরণ্যদেব, ম্যানড্রেক– ইন্দ্রজাল
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বগুরান জলপাই গ্রামে সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া এক ফিশিং ট্রলার ফিরে এল প্রায় দীর্ঘ কুড়ি বছর পর। দীর্ঘদিন বাদে জাহাজ নাহয় স্রোতে ভাসতে
ডানদিকে কোথায় চললি রে শান্টু? লাতেহারের পথ কি এদিকে নাকি?এদিকেই তো। গাড়ি চালাতে চালাতে মুখ না ঘুরিয়েই বলল শান্টু। পাশে-বসা নির্মলবাবু স্বগতোক্তি করলেন, সব কিছু
দুপুরে জম্পেশ করে ভাত আর এক বাটি দুধ সেই মাত্র সাঁটানোর পর একটা ছোট খাটো ঘুমও হয়ে গেছে এমন সময় মোবাইলটা বেজে উঠতেই একটু বিরক্তই
ধ্রুবদাটা যে এমন হাঁদার মতো দুম করে মরে যাবে, কে ভেবেছিল। কোথাও কিচ্ছু নেই, ফাঁকা রাস্তায় বেমালুম বাসের তলায় ! শীতের কানা ভোরে বাবু বেরিয়েছিলেন
সে ছিল একটা সাদাকালোর দুনিয়া। ফুটপাত, নোংরা ছড়ানো ডাস্টবিনের গলি, ধুলো ওড়া বড় সড়ক, মাথায় ডান্ডা বাঁধা ট্রাম, এক ধাক্কায় আকাশে তুলে দেওয়া টানা রিক্সা,
© Copyright 2019-20 | Celcius Technologies Pvt. Ltd. All Rights Reserved
Unauthorized copying or representation of any content, photograph, illustration or artwork from any section of this site is strictly prohibited.