আসন্ন শীতের কথা ভেবে এ বার অযোধ্যার গরুদের জন্য় আসছে চটের বিশেষ কোট। তবে যেমন তেমন কোট নয়। গোমাতা, গো-পতি, গো-সন্তান অর্থাৎ গরু, ষাঁড় এবং বাছুরের জন্য থাকবে আলাদা আলাদা ডিজাইনের কোট। বাছুরের জন্য় তিন লেয়ারের নরম কোট, গরুর জন্য দুই লেয়ারের এবং ষাঁড়ের জন্য এক লেয়ারের চটের কোট অর্ডার দেওয়া হবে। ইতিমধ্য়েই ১০০ বাছুরের জন্য এই কোট অর্ডার দেওয়া হয়েছে। কোট প্রতি খরচ পড়বে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। বৈসিংপুর গোশালা থেকেই আপাতত শুরু হতে চলেছে এই প্রকল্প। অযোধ্যা নগর নিগমের নিরজ শুক্লা এ-ও বলেছেন যে শীতের প্রকোপ থেকে গরুদের বাঁচাতে গোশালার মেঝেয় খড় বিছিয়ে দেওয়া হবে এবং আগুন জ্বালাবার জন্য় থাকবে কাঠের ব্যবস্থাও। মেয়র ঋষিকেশ উপাধ্যায় বলেন গোমাতার রক্ষনাবেক্ষণ আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা রাজ্যের সেরা গোশালা নির্মাণ করব।
উত্তরপ্রদেশে অবশ্য গরু বরাবর বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের সরকার এক গরু দত্তক প্রকল্প ঘোষণা করে। এর মাধ্যমে গরু দত্তক নিলে পাওয়া যাবে দিনে তিরিশ টাকা।
প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশে প্রতি বছর শীতের বলি হন বেশ কিছু সাধারণ নাগরিক। ২০১৮ সালের শীতে ওই রাজ্যে সত্তর জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। কিন্তু শীতের হাত থেকে বাঁচতে নতুন শীত-আশ্রয় গড়ে তোলার কিংবা পুরনো আশ্রয়গুলো সারিয়ে তোলার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের বিশেষ আগ্রহ দেখা যায়নি। উল্টে শীত কাটাতে সাধারণ মানুষের আগুন জ্বালানোর জন্য় বরাদ্দ কাঠ জ্বেলে বনফায়ার উপভোগ করতে দেখা যায় নেতা মন্ত্রীদের।