কার্তিক মাসের অমাবস্যায় হয় কালী পুজো | আর তার আগের দিন যে চতুর্দশী‚ তাকে বলে ভূত চতুর্দশী | আগে বাঙালি বাড়িতে দুটো রীতি খুব মানা হতো | ভূত চতুর্দশী রাতে জ্বালানো হতো ১৪ প্রদীপ | তার আগে এদিন দুপুরে ভাতের সঙ্গে থাকতই ১৪ রকম শাক ভাজা |
রামচন্দ্রের ১৪ বছর বনবাসের কাহিনি এর সঙ্গে যুক্ত হলেও মূল বিষয় কিন্তু চতুর্দশী তিথি | দীপ জ্বালানো হতো রাতের অন্ধকার দূর করতে | বলা হয় এইভাবে চোদ্দ পুরুষকে আলোদান করে বর্তমান প্রজন্ম | বহু বাড়ির ছাদে কার্তিক মাস জুড়ে আকাশপ্রদীপ জ্বালানোর রীতি এখনও দেখা যায় | ১৪ শাক ভক্ষণের বিষয়টি স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় | এই সময়ে মরসুম পাল্টায় | বাতাসে জায়গা করে নেয় হিমেল পরশ | তাই শরীর ভাল রাখতে ১৪ রকম শাক খাওয়ার বিধি |
আসুন দেখে নিই এই শাকগুলো ( বা গছের পাতা ) ঠিক কী কী —-
১| ওল ২| কেঁউ ৩| বেতো ৪| সর্ষে ৫| কালকাসুন্দে ৬| নিম ৭| জয়ন্তী ৮| শাঞ্চে ৯| হিলঞ্চ ১০| পলতা ১১| শৌলফ ১২| গুলঞ্চ ১৩| ভাঁটপাতা ১৪| শুষণীশাক
পঞ্জিকা মতে‚ এগুলোই কিন্তু সেই চোদ্দ শাক‚ যেগুলো বিধিমতো খেতে হয় | এখনকার প্রজন্ম এদের দেখা তো দূর অস্ত‚ কোনওদিন নামই শোনেনি বেশিরভাগের |
আয়ুর্বেদ এবং কবিরাজি শাস্ত্রে এইসব শাকের গুণ অসীম | যদিও বাঙালি এখন বেশি ভক্ত ধাবার সর্ষো দা শাগের আর পালক পনীরের | তাই এই চোদ্দ শাকের নাম আর খাওয়ার রীতি থেকে যায় আগের প্রজন্মের ঝাপসা হয়ে আসা স্মৃতিতেই |