নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির যুগেও উনচল্লিশ জন স্ত্রী, চুরানব্বইজন সন্তান, চোদ্দজন পুত্রবধূ এবং তেত্রিশজন নাতি-নাতনি মোট একশো আশি জন সদস্য নিয়ে ছেষট্টি বছরের জিওনা চানা নির্বিঘ্নে বসবাস করছেন। দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ মিজোরামের বাক্তোয়াং গ্রামে একটি চারতলা বাড়িতেই থাকে জিওনা চানার এই বিশাল পরিবার।
চারতলা বাড়িটিতে মোট ঘরের সংখ্যা একশো। উনচল্লিশ জন স্ত্রী পরিবারের কর্তার বেডরুমের কাছেই ডর্মেটরিতে একসঙ্গে থাকেন। এতবড় চারতলা বাড়িতে রান্নাঘর একটাই। রান্না ও খাওয়া-দাওয়া হয় একসঙ্গেই। জিওনা-র পুত্র, তাদের স্ত্রী এবং সন্তানেরা একই বাড়ির আলাদা আলাদা ঘরে থাকেন।
সতেরো বছর বয়সে যাথিয়াঙ্গির সঙ্গে জীবনের প্রথম বিয়ে জিওনা চানার। জিওনার প্রথম স্ত্রী যাথিয়াঙ্গী প্রতিদিন সকলকে তাদের কাজের দায়িত্ব ভাগ করে দেন। এই পরিবারের প্রতিদিন খাওয়ার জন্য ষাট কেজি আলু এবং প্রায় একশো কেজি চালের প্রয়োজন হয়। আর মাংস হলে, প্রায় ত্রিশ কেজির মতো মাংস লাগে। বাড়ির মেয়ে বউরা রয়েছেন ঘর পরিষ্কারের দায়িত্বে। পুরুষেরা চাষবাস করেন কিংবা পশুপালনে ব্যস্ত থাকেন। নিজেদের আয় ছাড়াও অনুগতরাও অনেকসময় দান করে থাকেন।
জিওনা তার পরিবারের সদস্যদের জন্য করে দিয়েছেন আলাদা স্কুল। যেখানে তার ছেলে মেয়ে এবং নাতি নাতনিরা পড়াশুনা করে। বর্তমানে সেই স্কুলটির জন্য সরকারি কিছু অনুদানও পাওয়া যায়। জিওনার বাড়িতে বেডরুমের পাশাপাশি রয়েছে একটি বিশাল বসার ঘর, যেখানে তার পরিবারের সঙ্গে যারা দেখা করতে আসেন তাদের বসতে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবারের তকমা পেয়েছেন এই পরিবার। শুধু বড় পরিবারের কর্তা হিসেবেই নয়, এর আগেও তিনি এক বছরে সর্বাধিক দশটি বিয়ে করার রেকর্ডও গড়েছেন। এ বিষয়ে পরিবারের কর্তা জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে খুব ভাগ্যবান বলেই মনে করেন কারণ, পৃথিবীর সব থেকে বড় পরিবারের প্রধান তিনি। তবে পরিবারের সংখ্যা বাড়াতে আরও বিয়ে করতে চান জিওনা চানা।